Tuesday, August 20, 2019

পাকুয়াখালি গণহত‌্যা


১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন শান্তি বাহিনী বাঘাইছড়ি ও লংগদুর ৩৬ জন কাঠুরিয়াকে বৈঠকের কথা বলে পাকুয়াখালি নামক গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিরীহ কাঠুরিয়াদের হাত পা ও চোখ বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ৩৫ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে হয়। তাদের অঙ্গ প্রতঙ্গ বিকৃত করে দেওয়া হয়, চোখ উপড়ে ফেলা হয়। এর মধ্যে ইউনুস আলী নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দু’দিনপর ১১ সেপ্টেম্বর ইউনুস আলীকে সাথে নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয়াখালি গহীন অরণ্য হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৭ জনের লাশ এখনও পায়নি স্বজনেরা। এই ঘটনার পর পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অব:) রফিকুল ইসলাম সহ ৪ জন মন্ত্রী লংগদু সফর করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেন। একই বছর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কোন এক অজানা রহস্যজনক কারণে তদন্ত কমিটি আজও প্রতিবেদন দেয়নি।


তবে ১ নভেম্বর ১৯৯৬ দৈনিক জনকণ্ঠের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, উক্ত প্রতিবেদনে শান্তিবাহিনীকেই পাকুয়াখালী ট্রাজেডির জন্য দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার দুই দশক পরেও শান্তিবাহিনীর সন্ত্রসীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কোন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। পুনর্বাসন করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে। 

No comments:

Post a Comment

হায় মুমলমান ! তোমরা কত বোকা ।

এপ্রিল ইংরেজী বর্ষের চতুর্থ মাস , ফুল (FOOL) একটি ইংরেজী শব্দ , যার অর্থ বোকা । এপ্রিল ফুলের অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’ । “এপ্রিল ফুল” ইতিহাসের এক...