Sunday, August 13, 2023

হায় মুমলমান ! তোমরা কত বোকা ।

এপ্রিল ইংরেজী বর্ষের চতুর্থ মাস , ফুল (FOOL) একটি ইংরেজী শব্দ , যার অর্থ বোকা । এপ্রিল ফুলের অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’ । “এপ্রিল ফুল” ইতিহাসের একটি জঘণ্যতম ও ঘৃণ্য এবং হৃদয়বিদারক লোমহর্ষক ইতিহাস । আজ আমরা অনেকই এসর্ম্পকে জানিনা বলে ইহুদী খৃষ্টানদের সাথে এপ্রিল ফুল পালন করে থাকি। আমরা মুসলমান , আজ আমাদের ইতিহাস সর্ম্পকে আমাদের জানা নাই এবং জানার চেস্টা ও করিনা । আর একারনে আজ আমাদের অধঃপতন ত্বরাম্বিত হইতেছে। ‘যে জাতি তার ইতিহাস সর্ম্পকে জানেনা , সে জাতির মত সর্বহারা জাতি আর হতে পারেনা’।মূল কথায়আসি- হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষের দিক । যখন সারাবিশ্ব মুসলমানদের বিজয়ের বাতাস বয়ে চলছে । সে বাতাস ইউরোপের মাটিতে দোলা দেয় । ইউরোপের একটি দেশের নাম আন্দুলুস বা স্পেন । ইউরোপের দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থিত রুপসি স্পেন । উত্তরে ফ্রান্স, পশ্চিমে র্পতুগাল , র্পূবে ও দক্ষিনে ভূমধ্যেসাগর । স্পেনের রাজা লডারিক ছিলেন একজন কট্ররপন্থী জালিম খৃস্টান । তার জুলুমে জনগন ছিল অতিস্ঠ । তার জুলুম নির্যাতনে হাপিয়ে উঠেছিল মাজলুম মানবতা। কিন্তু তার বিরুধ্যে টু শব্দ করার সাহস ছিল না কারো । যখন গোটা ইউরোপের ক্রান্তিকাল চলছিল , মুসলিম রণক্ষেত্রে কমান্ডার প্রধান ছিলেন মূসা বিন নুসায়ের । তিনি তখন দক্ষিন মরেক্কো জয় করে কায়রোয়ানে অবস্থান করছিল । তখন তার সাথে কাউন্টার রাজা জুলিয়ান সাক্ষাত করে মাজলুম মানবতাকে রক্ষা করার জন্য মূসা বিন নুসায়েরকে আহবান করেন । মূসা বিন নুসায়ের তার অধিনের সেনাপতি তারেক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে ৭,০০০ (সাত হাজার) সৈন্যর একটি মুজাহিদ বাহিনি প্রেরন করেন । ৯২ হিজরী ২৮ রমযান মোতাবেক ৭১১ খ্রিঃ জুলাই মাসে স্পেনে অবতরন করেন মুজাহিদ বাহিনি । শুরু হয় খ্রিস্টানদের সাথে প্রচন্ড লড়াই ।মর্মস্পর্শী তাকবীর ধব্বনিতে মূখরিত হয় আকাশ বাতাস । দীর্ঘ জিহাদের পর খৃস্টান বাহিনি পর্যদস্ত হয় । একের পর এক স্পেনের সকল শহর করায়ত্ব হয় মুসলমানদের ।সলিল সমাধি হয় জালিম শাসকের । তারপর থেকে ১৪৯২ সাল পযর্ন্ত প্রায় ৮০০ বছর মুসলমানেরা শান্তি আর সাম্য বজায় রেখে স্পেন শাসন করে। এদীর্ঘ আট বছর মুসলমানেরা স্পেনের বর্বর চেহারা সম্পূর্ণ্য সভ্যতার আলোকে উদ্ভাসিত করেন । তাদের ন্যায়-ইনসাফ আর ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে মানুষ দলে দলে আশ্রয় নেয় ইসলামের ছায়া তলে । শিক্ষা-সাংস্কৃতি ,জ্ঞান-বিজ্ঞান ,শিল্প-বাণিজ্যে ইত্যাদির কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণিত হয় স্পেন । কালের প্রবাহে এক সময় মূসলমানেরা শিক্ষা-সাংস্কৃতি , জ্ঞান-বিজ্ঞান ছেড়ো আরাম- আয়েশে মত্ত হতে শুরু করল। শাসকদের মাঝে অর্থের লোভ, ভোগ- বিলাসিতা ও বিজাতিয় আচার-আচরনসহ সব ধরনের নৈতিক অধঃপতন দেখা দেয়। এমন কি নৈতিক অধঃপতনের নিম্নপর্যায়ে উপণীত হল। মুসলিম শাসকদের মধ্যে অনৈক্য ও বিবাদ শুরু হয় । আর এই সুযোগকে কাজে লাগায় খৃস্টান শক্তি । যখনই মুসলমানেরা নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভূলে আরাম আয়েশে লিপ্ত হল এবং নিজেদের মধ্যে বিবাদ শুরু হল তখনই তাদের উপর নেমে আসলো এক অমানিবক অত্যাচার এবং হত্যাযজ্ঞ। ইউরোপের মাটি থেকে মুসলমানদের চিরতরে বিলিন করার জণ্য মেতে উঠে ইউরোপিয় নরপিচাশেরা । পর্তুগিজ রাণী ইসাবেলা এবং পার্শবর্তি রাজা ফার্ডিন্যান্ডের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে ১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিল চতুর দিক থেকে মুসলমানদেরকে ঘেরাও করে পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ে । ইতিহাস সাক্ষীদেয় , যখন খ্রিস্টানদের সম্মলিত বাহিনী মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ করছিল , তখনও মুসলমান রাজা- বাদশাদের হেরেমগুলো মদ আর নর্তকি দ্বারা ভরপুর ছিল ,আর তারা সেগুলো নিয়ে মত্ত ছিল । নেতৃত্বহীন নিরীহ অপ্রস্তুত মুসলমানেরা বুকভরা আশায় নিয়ে রাজধাণী গ্রানাডায় গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে । কিন্তু তাদের হতাশা চাড়া আর কিছুই ছিলনা। কারন, যারা তাদের নেতৃত্ব দিবে, তাদের ঈমান আমল আগেই বিলীন হযে গেছে ।মুসলমান রাজ- বাদশারা ছিল বহুদলে বিভক্ত । কিছু নামধারী মুসলিম নেতারা নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য এই পৈচাশিক কাজে মদদ জুগিয়ে ছিল। প্রিয় বন্ধু !অনেক লম্বা ইতিহাস,আমি সংক্ষেপ করছি। ক্রমে খৃস্টানগন গ্রনাডা দখল করে মুসলমানদের উপর চালালো অত্যাচারের স্টীমরোলার । মুসলমানরা দিশেহারা হয়ে যখন মুসলমানদের অবস্থা প্রকট রুপ ধারন করল ,তখন ধূর্তবাজ ফার্ডিন্যান্ডে ঘোষনা দেয় , যে মুসলমানেরা অস্ত্র সর্মপণপূর্বক মসজিদ সমূহে আশ্রয় নিবে তাদেরকে পূর্ণ্য নিরাপাত্তা দেওয়া হবে এবং যারা সমূদ্রের জাহাজ সমূহে আশ্রয় নিবে , তাদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে । নেতৃত্বহীন অসহায় মুসলমানেরা অস্ত্রবিহীন ক্ষুধা- পিপাসা কাতর হয়ে অর্ধৈয্য হয়ে পড়েছিল । তারা নরপিচাশ খৃস্টানদের প্রতরানা না বুঝে সরলমনে মসজিদ এবং জাহাজ সমূহে আশ্রয় নেয় । তখনই জালিম , নরপিচাশ প্রতারক রাজা ফর্ডিন্যান্ডের নির্দেশে খৃষ্টান সৈণ্যরা মসজিদ সমূহে তালাবদ্ধ করে দিয়ে ভিতরে ও বাহিরে চতুরদিক আগুন লাগিয়ে সেখানে আশ্রয় নেওয়া লক্ষ লক্ষ মুসলমানদেরকে পুড়িয়ে ণির্মম ভাবে শহিদ করল এবং জাহাজ গুলোতে আশ্রিত মুসলমানদেরকে গহীন সমূদ্রে ডুবিয়ে মারলো ।ত্রিশ লক্ষ মুসলমানদের কে পুরিযে মারলো এক সাথে । এভাবে আগুনে পুরে ভস্মিভূত ঞল আধুনিক ইউরোপের জনকেরা ।পরর্বর্তিতে মুসলমানদের মসজিদ-মাদ্রাসা এবং স্মৃতিগুলোকে বানিয়ে ছিল তাদের ঘোড়ার আস্তাবল ।

আসহায় নারি- পুরুষ আর শিশুদের আত্নচিতকারে ঐদিন আকাশ- বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। মুসলমানদের দুর্দশা দেখে জালিম , নরপিচাশ , প্রতারক রাজা ফর্ডিন্যান্ডের তার স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ উল্লাসে বলে উঠে Oh Muslim ! HoW fool you are . হায় মুমলমান ! তোমরা কত বোকা । সে দিন টি ছিল এপ্রিল মাসের ১ তারিখ । সেই থেকে মুসলমানদেরকে উপহাস করার জন্য খৃষ্টানেরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিলকে অত্যন্ত জাক-জমাকের সাথে ‘এপ্রিল ফুল’ বা এপ্রিলের বোকা উতসবের দিন হিসাবে পালন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় , এপ্রিলের এ দিনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান ভাই-বোনেরা নির্মমভাবে প্রান হারিয়েছিল ,আজ মুসলমানের সন্তানেরা খৃস্টানদের অনুসরনে সে দিনটিকে হাসি-খুশির দিন হিসাবে পালন করে থাকে। এপ্রিলের এই নির্মম ও হৃদয় বিদারক ইতিহাস জানার পরও কোন মুসলমান এই দিনকে হাসি খুশির দিন হিসাবে উদযাপন করতে পারে না । এপ্রিল ফুলের এই ইতিহাস আমরা সকল মুসলমান ভাইকে জানিয়ে দেই যাহাতে আর কোন মুসলমান এই দিন কে আনন্দ র্ফুতি হিসাবে পালন না করে । আসুন আমরা সকলে মিলে এই দিনটিকে ঐতিহাসিক ঘৃণ্য এবং কালো দিবস হিসাবে পালন করি । আল্রাহ পাক সকল মুসলমানদের কে সহী বুঝ দান করুন ।

ইতিহাস থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া যায় । আজ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাজা-বাদশাগন নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য যেভাবে আমেরিকা ,ইউরোপের তাবেদারি করছে, সম্ভবত সেইদিন বেশি দুরে নাই যে মধ্যপ্রাচ্য ও একদিন স্পেনের ভাগ্য বরন করবে। আজ লিবিয়ার জন্য বড় দুঃখ হয়।আরব লীগ নিজেদের ভিতরে সমাধান না করে ইহুদী-খৃস্টান সংঘ, মুসলমান নিধন সংঘ, জাতির সংঘের কাছে অনুরোধ করেছে । এর ফলাফল কি হল ?আমেরিকা, ফ্রান্স ,বৃটেন বিদ্রোহিদের রক্ষার অজুহাতে শত শত টন বোমা মেরে হাজার হাজার নিরিহ মুসলমান নারি-পুবুষ শিশুদের কে হত্যা করছে এ ব্যাপারে আরব লীগ বলতে গেলে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। যে আরব লীগ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে জারজ ইসরাইলের ব্যাপারে কোন সমাধান দিতে পারেনা। যেখানে ইসরাইলি হায়েনারা নিরিহ মুসলমানদেরকে প্রতিদিন পাখিরমত গুলি করে হত্যাকরে ।যে আরব লীগ আফগানিস্তানের ব্যাপরে কোন কিছূ করতে পারলনা। যে আরব লীগকে মুসলমানেরা আশার আলো ভেবে ছিল।আজ সে আরব লীগ লিবিয়ার ব্যাপারে আমদেরকে আরো হতাশ করল । আমেরিকা, ফ্রান্স ,বৃটেন বিদ্রোহিদের রক্ষার অজুহাতে যে তান্ডবলীলা করে সে ব্যাপারে জাতির সংঘ নামের সেই মুসলিম নিধন সংঘ ভূমিকা থেকে আমদের শিক্ষা নেওয়ার দরকার।

Thursday, August 3, 2023

সব দেশে কি নবী এসেছেন?

পৃথিবীতে মহান আল্লাহর রীতি হলো তিনি প্রতিটি যুগে, প্রত্যেক জাতির জন্য সতর্ককারী পাঠিয়েছেন। কখনো কখনো সতর্ককারী নবী হিসেবে আগমন করেছেন। কখনো রাসুল হিসেবে আগমন করেছেন। কখনো দাঈ বা ধর্মপ্রচারক হিসেবে আগমন করেছেন। যিনি দাঈ বা ধর্মপ্রচারক, তাঁর জন্য নবী হওয়া জরুরি নয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এলো। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা রাসুলদের অনুসরণ করো। ’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত : ২০)

উল্লিখিত ব্যক্তি নবী বা রাসুল ছিলেন না, কিন্তু ধর্মপ্রচারক ছিলেন। লোকমান (আ.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি সুরা অবতীর্ণ হয়েছে। বিশুদ্ধ অভিমত হলো, তিনি নবী ছিলেন না; কিন্তু তিনি তাঁর ছেলেকে তাওহিদের শিক্ষা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন লোকমান উপদেশ হিসেবে তার পুত্রকে বলল, হে বৎস, আল্লাহর সঙ্গে শরিক কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা মহা অন্যায়। ’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৩)। সুতরাং এতে কোনো সন্দেহ নেই যে মহান আল্লাহ প্রতিটি জাতির উদ্দেশে পথপ্রদর্শক পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে কয়েকটি আয়াত এসেছে।

(১) ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো...। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ৩৬)

এ আয়াত থেকে জানা যায়, আল্লাহ ইবাদত করার ও তাগুত (খোদাদ্রোহী শক্তি) বর্জনের নির্দেশ দিয়ে প্রত্যেক জাতির জন্য ‘রাসুল’ পাঠানো হয়েছে। (২) ‘তোমার পালনকর্তা জনপদগুলো ধ্বংসকারী নন, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রাসুল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে। ’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৫৯)

উল্লিখিত আয়াত থেকে জানা যায়, ‘সব জাতির জন্য রাসুল পাঠানো হয়েছে’—কথাটির অর্থ হলো, সব জনপদের কেন্দ্রস্থলে নবী পাঠানো হয়েছে। (৩) ‘আমি তোমার আগে অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের কারো কারো ঘটনা তোমার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারো কারো ঘটনা তোমার কাছে বিবৃত করিনি...। ’ (সুরা মুমিন, আয়াত : ৭৮)। এ আয়াত থেকে জানা যায়, অনেক নবী-রাসুল এমন রয়েছেন, যাঁদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।

(৪) ‘আমি তোমাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোনো জাতি নেই, যার মধ্যে সতর্ককারী আসেনি। ’ (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৪)। এ আয়াতে নবী-রাসুল শব্দের পরিবর্তে সংবাদদাতা-সতর্ককারী তথা আল্লাহর প্রতিনিধি পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।

(৫) কাফিররা বলে, ‘তার প্রতি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোনো নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন?’ ‘(আল্লাহ বলেন) তোমার কাজ তো (আজাবের ব্যাপারে) ভয় প্রদর্শন করা। আর প্রত্যেক জাতির জন্য পথপ্রদর্শক রয়েছে। ’ (সুরা রাদ, আয়াত : ৭)

এই আয়াত থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে সব জাতির জন্য নবী বা রাসুল পাঠানোর কথার মূল উদ্দেশ্য

হলো, সব জাতির জন্য ‘পথপ্রদর্শক’ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে ও ভারতবর্ষে কি নবী এসেছেন?

পবিত্র কোরআনের উল্লিখিত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা বিশুদ্ধ উৎস থেকে না জেনে কোনো কোনো ভাই প্রশ্ন তোলেন যে বাংলাদেশে, ভারতবর্ষে, চীনে, আমেরিকায় ও আফ্রিকায় কি কোনো নবী এসেছে? কেউ কেউ তো বলে বেড়ান যে ‘কোরআনে ভুল আছে! (নাউজুবিল্লাহ) কেননা কোরআনে বলা হয়েছে, সব জাতির জন্য নবী এসেছে। কিন্তু বাঙালি জাতির জন্য তো কোনো নবী আসেনি!’ এগুলো হঠকারিতামূলক প্রশ্ন। এসব প্রশ্ন চরম অজ্ঞতা থেকে উৎসারিত। প্রথম কথা হলো, এ বিষয়ে বর্ণিত আয়াতগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এখানে কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। 

এক. রাসুল। দুই. হাদি বা পথপ্রদর্শক। তিন. বাশির ও নাজির বা সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী। এ আয়াতগুলোর সামষ্টিক বর্ণনা থেকে যদি এ অর্থ গ্রহণ করা হয় যে সব জাতির জন্য হাদি বা আল্লাহর পথে পথনির্দেশকারী পাঠানো হয়েছে, তাহলে আর এ প্রশ্ন আসে না যে আমেরিকায়, চীনে, ভারতবর্ষে ও বাংলাদেশে কেন নবী আসেনি? কেননা এসব দেশেও আল্লাহর পথে আহ্বানকারী দাঈরা দ্বিন ও শরিয়ত প্রচার করেছেন। কিন্তু হ্যাঁ, যদি এ অর্থ গ্রহণ করা হয় যে সব দেশে আল্লাহর রাসুল এসেছেন, তাহলেই শুধু এ প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে আমেরিকায়, চীনে, ভারতবর্ষে ও বাংলাদেশে কেন নবী আসেনি? 

এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে ‘রাসুল’ শব্দের অর্থ জানা প্রয়োজন। ‘রাসুল’ শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। পরিভাষায় আসমানি গ্রন্থ ও বিশেষ বিধান নিয়ে আসা নবীদের ‘রাসুল’ বলা হয়। শাব্দিক অর্থের দিকে তাকিয়ে পবিত্র কোরআনে নবীদের পাশাপাশি কোনো কোনো ফেরেশতার জন্য ‘রাসুল’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রাসুলের (বহন করা/ বাহিত) বার্তা। ’ (সুরা হাক্বকাহ, আয়াত : ৪০)

সর্বসম্মতিক্রমে এ আয়াতে রাসুল মানে জিবরিল (আ.)। সুতরাং সব জাতির জন্য নবী বা প্রতিনিধি প্রেরণ বিষয়ে বর্ণিত আয়াতগুলোতে ‘রাসুল’ শব্দ যদি নবীদের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে আয়াতের অর্থ হলো, ইবাদতের আদেশপ্রাপ্ত প্রধান দুই জাতি তথা মানুষ ও জিন জাতির কাছে আল্লাহর নবী পাঠানো হয়েছে। সে হিসাবে মানুষ একটি জাতি। জিন একটি জাতি। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(কিয়ামতের দিন বলা হবে) হে জিন ও মানবজাতি, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে রাসুলরা আসেনি, যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াত বর্ণনা করত এবং তোমাদের আজকের এই দিনের মুখোমুখি হওয়া সম্পর্কে সতর্ক করত? তারা বলবে, আমরা নিজ অপরাধ স্বীকার করে নিলাম। আসলে পার্থিবজীবন তাদের প্রতারিত করেছে। আর তারা নিজেদের বিরুদ্ধে এ সাক্ষ্যও দেবে যে তারা কাফির ছিল। ’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৩০)

এ আয়াত থেকে জানা যায়, মানবজাতির উদ্দেশে নবী হিসেবে যেমন মহামানব প্রেরিত হয়েছে, তেমনি জিন জাতির উদ্দেশে নবী হিসেবে জিন প্রেরিত হয়েছে। তবে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি গোটা বিশ্বের মানব ও জিন জাতির রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। পক্ষান্তরে এসব আয়াতে যদি ‘রাসুল’ শব্দের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা হয়, তাহলে আয়াতের মূল অর্থ হলো—প্রত্যেক জাতির জন্য মহান আল্লাহর বাণী প্রচারক ও সতর্ককারী পাঠানো হয়েছে। এই অর্থে বলা যায়, মানবজাতির মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত সব জাতিসত্তার মধ্যে আল্লাহর বাণী প্রচারক ও সতর্ককারী পাঠানো হয়েছে, যদিও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার উদ্দেশে পৃথকভাবে নবী পাঠানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিশ্বাসীরা বলে, তাঁর প্রতি [মহানবী (সা.)] তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোনো নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন? তুমি তো শুধু সতর্ককারী। আর প্রত্যেক জাতির জন্যই সতর্ককারী আছে। ’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ৭)

সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা ও আফ্রিকায় যদি কোনো নবী না-ও পাঠানো হয়ে থাকে, তবু কোরআনের বক্তব্য সত্য। কেননা এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে কোনো ধর্মপ্রচারক যাননি।

দ্বিতীয়ত, কোরআনের ভাষ্যমতে, একসময় গোটা মানবজাতি এক জাতি ছিল। পরে মানুষ বহু জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সব মানুষ একই জাতিসত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ নবীদের পাঠিয়েছেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে। আর তাদের সঙ্গে অবতীর্ণ করেন সত্য কিতাব, যাতে মানুষের মধ্যে বিতর্কমূলক বিষয়ে মীমাংসা করতে পারেন। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৩)

নূহ (আ.)-এর যুগ পর্যন্ত মানবজাতি একই ভূখণ্ডে ছিল। সেটা ছিল মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক। তাদের জন্য পৃথক পৃথক নবী এসেছেন। এতে কারো দ্বিমত নেই। এর আলোকে বলা যায়, কোরআনের যেসব আয়াতে প্রত্যেক জাতির জন্য রাসুল আসার কথা বলা হয়েছে, সেটা ওই সব জাতির জন্য প্রযোজ্য। সেসব জাতির জন্য নবী- রাসুল আগমন করার বিষয়ে আসমানি ধর্মগ্রন্থ, বিশ্বের ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনির বর্ণনায় সামঞ্জস্য আছে। কাজেই সব জাতির জন্য রাসুল আসার কথা চিরন্তন সত্য। এ কথার মাধ্যমে কোরআনের ওপর প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।

Leopold Pospisil একটি বই লিখেছেন। বইটির নাম The Kapauku Papuans Of West Guinea. পাপুয়া নিউগিনির একটি অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু প্রস্তর যুগে থেকে যাওয়া মানুষের ব্যাপারে এই বইটি লেখা হয়েছে। তাদের বলা হয় কাফাউকু জাতি। এরা পশ্চিমা সভ্যতার প্রভাবমুক্ত ছিল অনেক বছর। সর্বপ্রথম তারা ১৯৩৮ সালে পশ্চিমা সভ্যতার সংস্পর্শে আসে। তাদের বেশির ভাগ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার ওপরে অবস্থিত, যার চারপাশ দুর্গম পর্বতসংকুল আর খাড়া গিরিপথে ঘেরা। ওই বইয়ে তাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে বলা হয়েছে, The Kapauku has an interesting world view. If we have to compare their religion versus Islam! অর্থ : ‘কাফাউকুদের বিশ্বদর্শন আছে, তাদের ধর্মবিশ্বাসকে আমি ইসলামের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। ’ সে বিশ্বাস কী ধরনের। তার একটি নমুনা রয়েছে ওই বইয়ে। সেখানে রয়েছে : The universe itself and all existence was Ebijata, ‘designed by Ugatame’, the Creator. অর্থ : ‘মহাবিশ্ব আর এর অভ্যন্তরস্থ সব বস্তু ছিল অস্তিত্বহীন। পরে সেগুলো অস্তিত্বে আনেন Ugatame বা স্রষ্টা। 

- তাই বলা যায়, পৃথিবীর ইতিহাস যথাযথ সংরক্ষিত থাকলে স্পষ্টভাবে বলা যেত যে কোন জাতির কাছে কোন নবী এসেছেন। 

➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশী বেশী প্রচার করুন। কেননা রাসূল (ﷺ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।”

[সহীহ মুসলিম, হাদিস নাম্বারঃ ২৬৭৪,৬৮০৪]

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

Saturday, June 10, 2023

টুপি ও পান্জাবি কী বিভক্তির উপলক্ষ্য?

 

ছবি গুগল থেকে নেওয়া

পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম উদার। নির্দিষ্ট কোন পোশাককে ইসলাম ড্রেস কোড করে নি। বরং পোশাকের ব্যাপারে কিছু ক্রাইটেরিয়া প্রদান করেছে। রাসূল সা, নিজেও সব সময় এক ধরনের পোশাক পরিধান করতেন না। নির্দিষ্ট কোন পোশাক পরিধান করতেও বলেন নি। সাহাবাগণও রা, একরকম পোশাক পরিধান করতেন না। সুতরাং নির্দিষ্ট কোন পোশাক কে সুন্নাত বলার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। তবে তাঁরা লম্বা জামাও পরতেন। 

লম্বা জামা আমিও পরিধান করি, কিন্তু সুন্নাত মনে করি না।  ভালো লাগে তাই পরি। লম্বা ও ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা পর্দার জন্য বেশি উপযোগী ও পরিধানে বেশি আরাম বোধ হয় তাই অনেক আলেমও এ পোশাক পছন্দ করেন। কিন্তু এটাকে কোন ইসলামী স্কলার সুন্নাত বলেন নি। এটি আদতের তথা অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত। 

পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম বলেছে- সতর আবৃত করতে হবে, থিনথিনে পাতলা হবেনা, পুরুষ টাখনু গিরা ঢাকবে না, পুরুষ রেশমী কাপড় পরবে না, অঙ্গ স্পষ্ট হয় এমন টাইটফিট হবে না, নারী পুরুষের পোশাক ও পুরুষ নারীর পোশাক পরবে না ইত্যাদি। 

এর আলোকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেমগণও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করেন। কারো জামা  টাখনু পর্যন্ত লম্বা। আবার কারো পায়ের নালার মাঝ পর্যন্ত প্রলম্বিত। কারো হাঁটু পর্যন্ত। কারো মাজা পর্যন্ত। কারো কোণা কাটা। কারো জোড়া লাগানো। কারো কলার বিশিষ্ট। কারো কলার বিহীন। পাকিস্তান, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ও ইউরোপের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন পোশাক পরিধান করেন। এটা ইসলামের উদারতার কারণেই। যারা এ উদারতকে সংকীর্ণ করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না। 

ঠিক টুপিও তাই। রাসূল সা, টুপি পরতেন, তবে নির্দিষ্ট কোন টুপি পরিধান করেন নি। তিনি মাঝে মাঝে এক খন্ড কাপড় মাথার উপরে এমন ভাবে রাখতেন, যা মাথার তৈলের কারণ মাথার সাথে লেপটে যেতো। তিনি মাথা ঢেকে চলা পছন্দ করতেন। টুপির উদ্দেশ্যও মাথা ঢেকে রাখা। তাই তো সৌদি আরব, ওমান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন টুপি পরিধান করেন। এটাও ইসলামের উদারতার কারণেই।নির্দিষ্ট কোন ডিজাইনের টুপিকে সুন্নাত মনে করা - ইসলামের উদারতাকে সংকীর্ণ করার নামান্তর। যারা এক কল্লি, তিন কল্লি, পাঁচ কল্লি, লম্বা, গোল, উঁচু, নীচু ইত্যাদির কোনটিকে সুন্নাত বানাবে তারা সীমালঙ্ঘনকারী। 

আমি উঁচু টুপি পরিধান করি, এটা আমার ভালো লাগে। কিন্তু যারা ভিন্ন টুপি পরে তাদের ব্যাপারে কখনো মনে সামান্য বিরুপ চিন্তা তৈরি হয় না। হবেই বা কেন, এটা তো তার এখতিয়ার। এ টুপি মাথায় দিয়ে চরমোনাই গিয়েছি, আহমদ শফী র, এর জানাজায় হাটহাজারী গিয়েছি। কোন অসৌজন্যতা পাইনি। বরং পীর সাহেব হুজুরদ্বয়ের মেহমানদারী ও হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের ভালোবাসায় দারুণভাবে সিক্ত হয়েছি। 

আজ বাংলাদেশে এ সীমালঙ্ঘন কর্মটা হয়ে গেছে ইসলাম বা হক্ক চেনার আলামত! টুপি আর জামার সাইজ দেখে হক্ক তালাশ করছে। মন মত টুপি বা জামা না হলে মাদ্রাসা বা দরবারে বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। 

আচ্ছা, মক্তবেও কি ড্রেস কোড আছে? এটা জীবনে গতকাল প্রথম শুনেছি! ভিন্ন টুপির কারণে ওস্তাজ ছাত্রকে মক্তব থেকে বের করে দিয়েছেন। আসলে ড্রেস কোড নয়, আমরা কেউ কেউ বিভক্তির চাষ করছি। যে বিভক্তি ইসলামে হারাম, সেটাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে আমরা ইবাদত বানাচ্ছি! 

হে রব! আমাদের সঠিক বুঝ দাও। 

আমাদের মাঝে ঐক্য ও ভালোবাসা দাও।

লিখেছেন: ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার) হাফি.

আমি নিয়েছি Mizanur Rahman Azhari র ওয়াল থেকে।

Monday, May 29, 2023

স্মার্ট বাংলাদেশে আইসিটি দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক হওয়ার বিকল্প নেই।

স্মার্ট বাংলাদেশে আইসিটি দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক হওয়ার বিকল্প নেই।

আপনি যদি শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন তাহলে নিম্নোক্ত ভিডিয়োটি দেখতে পারেন।




আমাদের চিন্তা আর সাহাবীদের চিন্তার পার্থক্য

হযরত উমার (রা) পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। এরপরও তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করেছেন কি-না এই ভেবে। আর আমরা সব মু'মিন এক সময় বেহেশতে যাব মনে করে অহর্নিশ অন্যায় ও পাপ কাজ করে যাচ্ছি। তওবা করে ফিরে আসার উপায় খুঁজে নিচ্ছি না। কিছু লোক তো ভুয়া ইনকাম, অবৈধ ইনকাম দিয়ে অর্থ জমাচ্ছেন বিলাসিতার জন্যে। আবার জীবনে একবার হজ্জ করে নিষ্পাপ হয়ে যাবেন এই চিন্তায় স্বস্তিতে আছেন। একবারও চিন্তা করছেন না! * আগামী এক মুহুর্ত তিনি কি বেঁচে থাকবেন? * তার উপার্জিত সম্পদ তার কোনো কাজে লাগবে? * তওবা করার কোনো সুযোগ কি তিনি পাবেন? * তিনি যাকে কষ্ট দিলেন সে কি তাকে কখনো ক্ষমা করবে? আমার পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন

হায় মুমলমান ! তোমরা কত বোকা ।

এপ্রিল ইংরেজী বর্ষের চতুর্থ মাস , ফুল (FOOL) একটি ইংরেজী শব্দ , যার অর্থ বোকা । এপ্রিল ফুলের অর্থ ‘এপ্রিলের বোকা’ । “এপ্রিল ফুল” ইতিহাসের এক...